Abstract:
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (১৯৩৯-৪৫) সূচনা ইউরোপে হলেও শেষ পর্যন্ত তা এশিয়াতেই বিস্তার লাভ করেছিল সর্বাধিক। যুদ্ধের অন্যতম মন্ত্রণাদাতা, সংগঠক ও অংশীদার আটলান্টিকের অপর পারের দেশ যুক্তরাষ্ট্র হলেও ওই একটি মাত্র দেশ ছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম আটলান্টিকের কোনো দেশই ওই যুদ্ধে অংশ নেয়নি। এমনকি যুদ্ধের সূচনাকারী ইউরোপও ক্রমান্বয়ে তা থেকে বেরিয়ে এসে সেটিকে এশিয়ার দিকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে এবং তাতে তারা পরিপূর্ণভাবে সফলও হয়। এ সাফল্য শুধু এ কারণে নয় যে, তারা ওই যুদ্ধব্যয়ের সিংহভাগই এশিয়ার ঔপনিবেশিক দেশগুলোর ওপর চাপিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল। বরং তা এ কারণেও যে, যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণদানের মতো চূড়ান্ত ক্ষতির বড় ভাগটিও তারা এশিয়ার কাঁধেই চাপাতে পেরেছিল। উল্লেখ্য, ওই যুদ্ধে প্রাণহারানো প্রায় সাড়ে ৮ কোটি মানুষের সিংহভাগই ছিল এশীয়।