Abstract:
অফিসে কাজের চাপ সামলানোর উপায় খুঁজতে গিয়ে সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘বই কেনা’তে উদ্ধৃত আনাতোল ফ্রাঁস (১৮৪৪-১৯২৪) থেকে চিন্তার সূত্র ধার করে তরুণ সহকর্মীকে বলছিলাম, মাছির বহুসংখ্যক চোখের মতো আমারও যদি বহুসংখ্যক চোখ ও সে অনুপাতে সমানসংখ্যক হাত থাকত, তাহলে কাজ এগিয়ে নেওয়াটা কতই না সহজ হতো। সমাজে সুনাম আছে এরূপ একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাজারে ব্যাপক চাহিদা আছে এমন বিষয়ে ভালো সিজিপিএ নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারী সহকর্মীকে এবার জিজ্ঞেস করলাম, আনাতোল ফ্রাঁসকে চেনেন কিনা। প্রতিক্রিয়ায় চোখ ছানাবড়া করে অবাক-বিস্ময় নিয়ে তিনি আমার দিকে তাকালেন। সৈয়দ মুজতবা আলীর একই প্রবন্ধে বার্ট্রান্ড রাসেলের (১৮৭২-১৯৭০) নামও রয়েছে, যিনি অপেক্ষাকৃতভাবে সমকালীন। তাই পরিবেশকে সহজ করার জন্য (সহকর্মীকে) জিজ্ঞেস করলাম, বার্ট্রান্ড রাসেলের নাম শুনেছে কিনা। এ প্রশ্নে তার বিস্ময় আরও গভীর হলো এবং তা দেখে আমারও খানিকটা খটকা লাগল।